এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত : ইতিহাস, কিভাবে কাজ করে এবং কেনো এসইও গুরুত্বপূর্ণ

এসইও এর পূর্ণরূপ হল সার্চ ইঞ্জিন অটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে কোন কনটেন্ট কিংবা এইচকে যেমন সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে রেঙ্ক করানোর পদ্ধতি বোঝায়। সহজ ভাবে বলতে গেলে মানুষজন যখন ব্রাউজারে কোন কিছু লিখে সার্চ দিবে তখন আপনার ওয়েবসাইট সার্চ পেইজের প্রথমে আসবে এবং এই নিয়ে আসার পদ্ধতি হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

alt_here


সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে কাজ করে ?

আগেই বলা হয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেইজে আমাদের কোন কনটেন্টকে নিয়ে আসা এবং এই পদ্ধতিতেই মূলত এসইও বলা হয় সংক্ষেপে। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা এসইও বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট কিংবা ওয়েব পেজের উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি অনলাইনে আপনার কোন কনটেন্ট পাবলিশ করেছেন, এখন এই কনটেন্ট আপনি কোথায় পাবলিশ করেছেন সেটাকেই মূলত মাধ্যম বলা হয়। যেমন নিচে বেশ কিছু উদাহরণ দেওয়া হল : 


  • আপনি যদি আপনার লেখা কোন কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবলিশ করেন এবং সেটি পাবলিক করে রাখেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার কনটেন্ট টিকে নিজেদের সার্চ পেইজে যুক্ত করবে।
  • বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ওয়েবসাইটে আপনি চাইলে আপনার লেখা প্রদান করতে পারেন। এক্ষেত্রে সে সমস্ত ব্লগ ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের আওতায় থাকলে আপনার কনটেন্ট টি উক্ত সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করবে।
  • আপনি চাইলে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে আপনার কনটেন্ট পাবলিশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি নিজেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করবেন এবং নিজেই আপনার কনটেন্টগলো গুগলের সার্চ পেইজে আনার জন্য কাজ করবেন। 
এছাড়াও আরো বেশ কিছু মাধ্যম আছে যেখানে আমরা আমাদের কনটেন্ট পাবলিশ করলে সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করে। যেমন বেশ কিছু ভিডিও প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আমরা চাইলে ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে আসতে পারি।

কেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটি স্টেরাজেরই প্রসেস যা কোন কনটেন্টকে ইমপ্রুভ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনের পেইজে আসলে মানুষ আপনাকে এবং আপনার লেখাকে বেশি পড়তে পারবে। ফলে আপনার লেখা সম্পর্কে সাধারণ জনগণের মনে একটি ধারণা তৈরি হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত ব্রেকডাউন নিচে দেওয়া হল : 

  • ভিজিবিলিটি ( সামনে আসা) : এসইও কোন ওয়েবসাইট কিংবা কনটেন্ট কে মানুষের সামনে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।

    ধরুণ আপনার একটি বিড়াল সম্পর্কিত ওয়েবসাইট আছে। এখন আপনি বিড়ালের বিভিন্ন ব্রিডিং, বিড়াল অসুস্থ হলে সে সময় করণীয় এবং বিড়াল সম্পর্কিত কিছু আর্টিকেল লিখলেন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে এই আর্টিকেলগুলো আপনি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন ফলে মানুষ আপনার লেখা পড়ে উপকৃত হবে।
  • কোয়ালিফাই ট্রাফিক ( মানসম্মত ভিজিটর ) : এসইও টার্গেটিং এর মাধ্যমে যেই ইউজারদের প্রয়োজন আমরা শুধুমাত্র তাদেরকেই আমাদের ভিজিটর হিসেবে আমাদের content গুলো দেখাতে পারি কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারি। ধরুন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিড়াল সম্পর্কে লেখালেখির পাশাপাশি বিড়ালের খাবার ও অন্যান্য উপকরণ বিক্রি করে থাকি।

    এর ফলে যারা বিড়াল পছন্দ করে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে আসবে এবং বিড়াল সম্পর্কে জানবে। কিছু কিছু ভিজিটর যারা বিড়াল সম্পর্কে জেনে নিজেরা বিড়াল পালা শুরু করবে এবং আমাদের ওয়েবসাইট থেকেই বিড়ালের খাবার কিনবে। এটাকেই মূলত মানসম্মত ভিজিটর কিংবা কোয়ালিফাইড ট্রাফিক বলা হয়। 
  • অর্থের সঠিক ব্যবহার : এসইও করার ক্ষেত্রে টাকা পয়সার প্রয়োজন খুবই সামান্য। একই সাথে আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে এড রান করান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ বহু গুণে বেড়ে যাবে। কিন্তু এসইও সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই শুরু করতে পারবেন। যার ফলে আপনার খরচ অনেকটাই বেঁচে যায়।
  • বিশ্বস্ততা : আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট যখন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় থাকবে তখন ভিজিটররা আপনাকে বিশ্বাস করবে। বিষয়টা ঠিক এরকম যে ধরুন আপনি দুই বছর ধরে বিজনেস করছেন এবং গত ছয় মাসে আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেজে আছে।

    এর ফলে গত ছয় মাসে আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বস্ততা মানুষের কাছে দ্বিগুণের থেকেও বেশি হবে যেটা গত ৬ বছরেও আপনি তৈরি করতে পারেননি। এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা বললে নতুন আরেকটি আর্টিকেল হয়ে যাবে। 
  • ইউজারের ব্যবহার : যখন আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেজে থাকবে তখন আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার কাস্টমার ঠিক কোনটা চায়। যেমন ধরুন বর্তমানে বিড়ালের খাবারে চাহিদা বাজারে তেমন একটা নেই কিন্তু বিড়ালের একটি নতুন ফ্লু প্রবাহিত রোগের ওষুধের চাহিদা প্রচুর পরিমাণ রয়েছে।

    যখন ইউজার আপনার ওয়েবসাইটে ঠিক এই ওষুধের নামটা লিখে সার্চ করবে তখন সেই ডাটাগুলো এনালাইসিস করে আপনি নতুন এই প্রোডাক্টটি আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে পারবেন। এর ফলে আপনার বিক্রি বেশি হবে এবং লাভবান হতে পারবেন। 

এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা এসইও এর সুবিধা অগণিত। আমরা এখানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রধান কিছু সুবিধা সমূহ উল্লেখ করেছি। এর প্রত্যেকটি টপিক এতটাই বড় যে আমরা আলাদাভাবে টপিকগুলো আর্টিকেল লিখতে পারবো। শেষ কথা এটাই যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা এসইও একজন বিজনেস ম্যান এর কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

SEO data analysis


সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ইতিহাস

আপনারা জানেন যে যখন প্রথম ইন্টারনেট তৈরি হয়েছিল তখন ডাইরেক্টরি টাইপের কিছু ওয়েবসাইট ছিল যেখানে নতুন কোন ওয়েবসাইট তৈরি হলে সেই ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো ওয়েব ডাইরেক্টরিতে যুক্ত করা হতো।

সময়ের ব্যবধানে ডাইরেক্টরি গুলো অনেক বড় হতে থাকে এবং মানুষজন তাদের প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট এত তথ্যের ভিতর খুঁজে পাচ্ছিল না। এর একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

কেনো প্রয়োজন পড়ল সার্চ ইঞ্জিনের ? 

ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। এবং একই সাথে আপনার বন্ধুরও একটি ওয়েবসাইট আছে। আপনারা দুজনে একটি ডাইরেক্টটরিতে আপনাদের ওয়েবসাইট এন্ট্রি করলেন। এখন ডাইরেক্টর ই শুধুমাত্র কারো একার জন্য তৈরি করা হয় না। ডাইরেক্টরি মূলত সারা বিশ্বের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। ফলে সারা বিশ্ব থেকে ডাইরেক্টরিতে ওয়েবসাইট যুক্ত করতে করতে এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিল যে অতি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট গুলো আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। 

যার ফলে অনেকগুলো কোম্পানি নিজস্ব ডাইরেক্টর তৈরি করে। এখানেও আরেকটি বড় ধরনের সমস্যা দেখা যায়। মানুষজনের ডাইরেক্টরি মনে রাখতে আবার আরেকটা ডাইরেক্টরি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অর্থাৎ বিষয়টি কতটুকু কমপ্লেক্স হয়ে যাচ্ছে সেটা বুঝতে আর বাকি রইল না। 

সার্চ ইঞ্জিনের ইতিহাস

এই ধরনের সমস্যায় সমাধানের জন্য গুগল ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের একটি ধারণা প্রদান করেন। সাল হিসেবে জিনিসগুলো ব্রেক ডাউন করতে গেলে হয়তো বা আর্টিকেলটি অনেক বড় হয়ে যাবে তাই গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইতিহাস এখানে তুলে ধরা হলো। 

  • ১৯৯৬ সালে সৃষ্টি হয় গুগলের। গুগল তড়ির মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের ভবিষ্যৎ এবং অ্যালগরিদম এর একটি নতুন ধারা উন্মোচিত হয়। 
  • ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মানুষের সামনে আসে। ড্যানি সুলিভান সর্বপ্রথম এসইও শব্দটি মানুষের সামনে নিয়ে আসেন। 
  • ২০০০ সালে গুগল নিজেদের পেইজ র্যাঙ্ক অ্যালগোরিদম উমমোচন করেন যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন নতুন একটি ধাপ পার হয়। 
  • ২০০৩ সালে গুগল তাদের এডসেন্স প্রোগ্রাম তৈরি করেন। 
  • ২০০৫ সালে কিওয়ার্ড এবং মেটা ট্যাগ এর বিষয়গুলো গুগল মানুষের সামনে তুলে ধরেন। কিওয়ার্ড এবং এই সম্পর্কিত বিষয়গুলো এখনো সার্চ ইঞ্জিনে সমান জনপ্রিয়তার সাথে রয়েছে। 
  • ২০০৭ সালে লো কোয়ালিটি আর্টিকেল কিংবা নিম্নমানের লেখাগুলো google বুঝতে শুরু করে। 
  • ২০১১ সালে গুগল এমন একটি আপডেট নিয়ে আসে যা মূলত লিঙ্ক স্তমিং কিংবা হ্যাকিং এর সাথে জড়িত। এর ফলে সাইবার সিকিউরিটি আরো আপডেট হতে থাকে। 
  • ২০১২ সালে google নলেজ গ্রাফ্ মানুষের সামনে উন্নোচিত হয়। এর ফলে মানুষ সহজেই কোন বিজনেস কিংবা কোন কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারে। 
  • ২০১৩ সালে গুগলের হামিংবার্ড আপডেট নামে আরেকটি আপডেট আসে যেখানে গুগল সার্চ করা কথাগুলো নিজেরা বুঝতে পারে। এর ফলে একজন মানুষ সার্চ ইঞ্জিন কে ঠিক কি বুঝাতে চাইছে সেটা গুগল অল্প কিছু লেখা কিংবা কথা দাঁড়াই ধরে ফেলতে পারে। 
  • ২০১৫ তে গুগল সর্বপ্রথম মোবাইল ফাস্ট ইনডেক্সিং নিয়ে কাজ করা শুরু করে। মূলত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার google কে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।
  • ২০১৮ তে গুগল লং টেল কিওয়ার্ড কিংবা বড় কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করে। এর ফলে একজন ইউজার স্বাভাবিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন কে কি বোঝাতে চাচ্ছে সেটা গুগল খুব সহজেই বুঝতে শুরু করে। 
  • ২০২০ এ google নিজেদের কোয়ালিটি এবং সার্চ কোয়ালিটি আপডেট করে। এই সালে বড় ধরনের কোন আপডেট আসেনি। 
  • ২০২৩ সালে গুগল সর্বপ্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সার্চ ইঞ্জিন মানুষের সামনে উন্মোচন করে। এখানে বলে রাখা ভালো গুগলের সাথে সাথে আরেকটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন মাইক্রোসফট বিং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স search result প্রদান করা শুরু করে। 

এসইও এর উন্নয়নে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের ভূমিকা 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সর্বপ্রথম গুগলকে ঘিরে তৈরি হলেও সময়ের ব্যবধানে আরো অনেক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটে চলে আসে। প্রাথমিকভাবে উক্ত নতুন সার্চ ইঞ্জিনগুলো গুগলে তৈরি করা রোডম্যাপ অনুযায়ী কনটেন্টগুলো নিজেরা রাঙ্ক করতে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে অনেকেই নিজেদের মতো করে নিজেদের চার্জ ইঞ্জিন কে আপডেট করতে থাকে। 

ঠিক এরকমই একটি সার্চ ইঞ্জিন হলো মাইক্রোসফট বিং। কয়েক বছর আগেও আমরা মাইক্রোসফট বিং ব্যবহার করতাম না। খুবই অল্প কিছু মানুষ এই সার্চ ইঞ্জিন তাকে ব্যবহার করত। কিন্তু ২০২৪ এ এসে মাইক্রোসফ্ট বিন একটি রাউন্ড ব্রেকিং আপডেট আমাদের সামনে নিয়ে আসে।

যার ফলে মাইক্রোসফট বিং এর ব্যবহার তুলনামূলক অনেক বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আরো বেশ কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যেমন ইয়ানডেক্স, আস্ক ইত্যাদি। বেশ কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যা প্রাইভেসিকে ফোকাস করে তৈরি করা হয়েছে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 

মাইক্রোসফট বিং সর্বপ্রথম মানুষের সামনে উন্মোচন করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত সার্চ ইঞ্জিন। এর ফলে কোন ওয়েবসাইটে পরিবেশ না করেই যেকোনো তথ্য, ডাটা, পদ্ধতি কিংবা প্রক্রিয়া আমরা শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনে লিখলেই আমাদের সামনে সেগুলো চলে আসতো। 

এর ফলে ওয়েবসাইটে ভিজিটর তুলনামূলক অনেক কমে যায়। সাধারণ ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটে ভিজিট না করে সরাসরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে নিজেদের তথ্যটি যাচাই করে নেয়। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বিস্তারিত অন্য একটি আর্টিকেলে জানব। 

SEO with AI


মাইক্রোসফট বিং এর এরকম পরিকল্পনা সার্চ ইঞ্জিনে অনেক বড় ধরনের ইম্প্যাক্ট তৈরি করে। ফলে সাধারণ ওয়েবসাইট মালিকেরা বিভিন্ন ধরনের নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করা শুরু করেছে। তবে এটি এখনো স্টেবল পজিশনে আসেনি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সার্চ ইঞ্জিন ও সার্চ ইঞ্জিন

যে সমস্ত জিনিস সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো : 

  • বেশ কিছু আর্টিফিশয়াল ইন্টেলিজেন্স সার্চ ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে যা মূলত ইউজারের ডাটা গুলোকে কোন ওয়েবসাইটে না নিয়ে সরাসরি নিজেরাই প্রসেস করে দেখায়। 
  • বেশ কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাট বট রয়েছে, যাদেরকে আপনি কোন প্রশ্ন করলে তারা আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দেয়। যেমন চ্যাট জিপিটি, জিমিনি ইত্যাদি। 
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কনটেন্ট রাইটিং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য আরেকটি বড় বাধা। বর্তমানে অনেকেই স্বল্প সময় লাভবান হওয়ার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে যা মোটেও উচিত নয়। 

এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যেগুলো নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে অন্য কোন আরেকটি আর্টিকেলে আলোচনা করব।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সর্বশেষে 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এমন একটি জিনিস যা কোন বিজনেসকে, কোন প্রোডাক্টকে কিংবা কোন ওয়েবসাইটকে সবার সামনে নিয়ে আসতে সহযোগিতা করে থাকে। 

Post a Comment